১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
GAZA - AUGUST 6: A view from the air as Jordanian air force personnel in a Jordanian C-130 military aircraft perform an air drop of aid and humanitarian supplies on August 6, 2025 in Gaza. On Wednesday, the Royal Jordanian Air Force carried out air drops of food and other aid over Gaza, alongside aircraft from other nations carrying 54 tons of humanitarian supplies. Airdrops of aid have resumed in recent weeks in an attempt to alleviate the severe lack of food and other essentials reaching people in Gaza, where the World Food Programme (WFP) has said over half a million people are enduring famine-like conditions, as Israel continues to restrict the flow of aid. (Photo by Salah Malkawi/Getty Images)
গাজার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোতে আটকে থাকা প্রায় ২০০ বেসামরিক নাগরিকের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মধ্যস্থতা করছে তুরস্ক। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রবিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তুর্কি ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বর্তমানে গাজার সুড়ঙ্গগুলোতে আটকে থাকা প্রায় ২০০ বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদে বাইরে আনার জন্য কাজ করছি। বিষয়টি জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশায় কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় আছি।”
তিনি আরও জানান, এর আগেও তুরস্ক মানবিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। প্রায় ১১ বছর আগে গাজায় নিহত ইসরায়েলি সেনা হাদার গোল্ডিনের মরদেহ ফেরত পাঠাতে তুরস্কের সহায়তা ছিল উল্লেখযোগ্য।
তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, “হামাসের সঙ্গে আলোচনায় তুরস্কের অংশগ্রহণ একধরনের বিশ্বাসের প্রতীক। এটি হামাসের পক্ষ থেকেও যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
গাজার চলমান সংঘাতে বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শত শত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের অনেকেই ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ছিল গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে সম্পাদিত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ। আঙ্কারা তখনও গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিল, “যুদ্ধবিরতির মূল লক্ষ্য হবে বেসামরিকদের জীবন রক্ষা ও মানবিক করিডর নিশ্চিত করা।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে তুরস্কের এই প্রচেষ্টা একদিকে মানবিক উদ্যোগ, অন্যদিকে আঞ্চলিক কূটনীতিতে তাদের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
