১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
কুয়েডরের একটি কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় অন্তত ৩১ বন্দির মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে, বাকিরা আহত হয়ে বা সংঘর্ষে প্রাণ হারান। এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াইয়াকিলের এক উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে বন্দিদের মধ্যে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সংঘর্ষ থেকে এ দাঙ্গা শুরু হয়। প্রথমে কারাগারের একটি সেলে আগুন লাগে, পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। ঘন ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে বহু বন্দি মারা যান।
ইকুয়েডরের কারা প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানায়, উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর মোট ৩১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুন নেভাতে এবং বন্দিদের সরিয়ে নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে গ্যাং সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দি থাকায় পরিস্থিতি প্রায়শই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ২০২১ সালে গুয়াইয়াকিল কারাগারেই আরেকটি দাঙ্গায় ১১৯ বন্দির মৃত্যু হয়েছিল, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা।
সরকার বলছে, অপরাধচক্রগুলো মাদক চোরাচালান ও কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত। দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া নিরাপত্তা বাহিনীকে পরিস্থিতি “যে কোনো মূল্যে” নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন।
